রেশনে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল বাঁকুড়ার ইন্দাসের হরিপুর , বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে

18th April 2020 বাঁকুড়া
রেশনে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল বাঁকুড়ার ইন্দাসের হরিপুর , বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  লক ডাউনের মধ্যেই রেশন দূর্ণীতি নিয়ে ফের উত্তাল হলো বাঁকুড়া। এবার ইন্দাসের হরিপুর গ্রাম এলাকার ঘটনা।   স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিপুর গ্রামের রেশন ডিলার অমিত কুমার দাস রেশন সামগ্রী অন্যত্র লুকিয়ে রেখে দীর্ঘ দিন ধরেই গ্রাহকদের পরিমানে কম দিচ্ছিলেন। এদিন সকালে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা ঐ রেশন দোকান পরিদর্শণের পর ফিরে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট রেশন দোকানের মালিক তার গোপন আস্তানা থেকে রেশন সামগ্রী বের করার সময় বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে পড়ে। এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা রেশন দোকানের মালিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ইন্দাস থানার পুলিশ ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিকরা।

   গ্রামবাসী কাশিনাথ পরিজা, কৃষ্ণা দাস মাজি, বুল্টি মাজিরা বলেন, বাড়ির মালিককে না জানিয়ে গোপনে রেশনের চাল লুকিয়ে রেখেছিলেন ঐ রেশন ডিলার। বিষয়টি গ্রামের মহিলারা প্রতিবাদ করলে তাদের ঐ চাল নিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তারা ঐ রফাসূত্রে রাজী হননি। বিষয়টি লিখিতভাবে পুলিশকে জানানো হচ্ছে বলে তারা জানান।

   শেষ পাওয়া খবরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঐ রেশন দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।